স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে এক কিশোরীকে কিশোরীকে ফুসলে ধর্ষণের অভিযোগে যশোর জেলা যুবলীগের নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকসহ ৪জনকে আটক করেছে।
ঈদের দিন বিকালে ধর্ষণের দায়ে তাদেরকে আটক করেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে রফিক পুরাতন কসবা এলকার বাসিন্দা। অন্যরা হলেন, সিটি কলেজ পাড়ার মিরাজ হোসেন আকাশ, আরবপুর আয়শা পল্লির তাওসিন বিল্লাহ, জেলরোড বেলতলার আরাফাত আহমেদ। পলাতক আসামিরা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত কাজীপাড়ার শহীদ,পুরাতন কসবার রাফাত ইয়াসমিন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার সাথে আসামি মিরাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে সুবাদে গত ৯ জুলাই সন্ধায় শহরের দড়াটানা এলাকায় ঘুরতে যান তারা। এসময় মিরাজের পরিচিত অন্য আসামি তাহসান ও আরাফাতের সাথে কথা হয়। তারা বাদীকে গান শুনানোর কথা বলে বিমান অফিসের বিপরীতে দু’তলায় রফিকের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে যেয়ে বাদী দেখতে পায় মদের বোতল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম সাজানো রয়েছে।এসব দেখে বাদী হতবাক হয়ে ওই অফিস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আসামিরা সেখানে তাকে আটকে রেখে মারপিট করে। এক পর্যায় অন্য আসামিদের সহযোগিতায় আসামি শহীদ বাদীকে ধর্ষণ করে। মামলায় আরো বলা হয় রফিকসহ অন্যরাও সেসময় উপস্থিত ছিলো। এ সময় বাদী অসুস্থ্ হয়ে পড়ে। পরে ঈদের দিন ভোর সাড়ে পাচটায় বাদী রফিকের অফিস থেকে বের হলেই পুলিশের দেখা পায়। পুলিশের কাছে ঘটনা খুলে বললে কসবা ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে রফিক বাদে অপর তিন আসামিকে আটক করে। পরে রোববার একটার পর কাঠালতলা এলাকা থেকে রফিককে আটক করে। এসময় তার অফিস তল্লাসি করে মদের খালি বোতল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আসামিদের রোববার সন্ধার পর আদালতে সোপর্দ করে। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে এক নেতা সহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আশ্রয় আনা হবে বলে তিনি জানান।