ঈশ্বরদীতে লেগুনার কাচ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে গুলিতে করে রিক্সাচালক কে হত্যা

নিউজটি শেয়ার লাইক দিন
ঈশ্বরদী(পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে দুর্বিত্তের গুলিতে  মোঃ মামুন হোসেন (২৫) নামে এক রিকশা চালক নিহত হয়েছে ও গুরুতর আহন হন আরো দুজন।
বুধবার (৪ই ডিসেম্বর ২০২৩)  রাত ৮ টার সময় উপজেলার পৌর শহরের কাচারি পাড়া কড়ইতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিকশা চালক মামুন পিয়ারাখালি এলাকার মানিক হোসেনের ছেলে।  হলেন পিয়ারাখালী এলাকার শরীফ হোসেনের ছেলে রকি (২৬) ও বাবু ওরফে বরকি বাবুর ছেলে সুমন (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনাচালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙার জরিমানা দাবি করেন। এসময় কাচারিপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন, রকি ও সুমন দুই চালকের বাগবিতণ্ডা থামাতে যান।
একপর্যায় রহিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুরের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) ঘটনাস্থলে এসে মামুন, রকি, সুমনসহ ভটভটিচালককে হুমকি দেন। তারাও আনোয়ারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর আনোয়ারের সমর্থনে তিনটি মোটরসাইকেলের নয়জন ও রিকশায় আরও দুজনসহ  মোট ১১ জন ঘটনাস্থলে এসে মামুন, রকি, সুমনসহ স্থানীয়দের ওপর পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় মামুন গুলিবিদ্ধ হন। আর রকি ও সুমন আহত হন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রহিমা ফেরদৌসী  বলেন, মামুন হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। আহত সুমন ও রকিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোম্বামী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষে সামনের গ্লাস ভাঙার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *