বেনাপোল প্রতিনিধি: মাত্র চার ঘন্টার ব্যবধানে বেনাপোল সীমান্তে পোনে তিন কেজি স্বর্ণসহ দু’পাচারকারী আটক হয়েছে। বিজিবি জানায়,দু’কেজি ওজনের দু’টি স্বর্ণেরবারসহ দিলীপ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক পাচারকারী আটক করা হয় । বুধবার দুপুরে বেনাপোল ঘিবা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এসব স্বর্ণসহ তাকে আটক করা হয়। আটক দিলীপ বিশ্বাস বেনাপোল পোর্ট থানাধীর ৩নং ঘিবা গ্রামের নরেন বিশ্বাসের ছেলে। অপার দিকে , একই সময়ে দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা ৬ পিচ স্বর্ণেরবারসহ মনিরা খাতুন (৩০) নামে আরো এক নারী পাচারকারীকে আটক করে। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ৭শ’ গ্রাম। সে বেনাপোল পোর্ট থানা বড়আঁচড়া গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী। এর আগে সোমবার সকাল ৮টার দিকে বেনাপোল আমড়াখালী চেকপোস্ট থেকে ৮টি স্বর্ণেরবারসহ রবিউল ইসলাম জামির (৩৫) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক জামির যশোর কোতয়ালী থানার লোনঅফিস পাড়া এলাকার মনির উদ্দিনের ছেলে। তবে বরাবরের মত স্বর্ণ পাচারকারীরা আটক হলেও মূলহোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন পুলিশ তৎতপরতা না থাকায় স্বর্ণ পাচারের মূলহোতারা থেকে যাচ্ছে পর্দার অন্তরালে।
দৌলতপুর বিজিবি ক্যাম্প সুবেদার মোকাবেল জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যেমে দৌলতপুর সীমান্তে গরু খাটালের সামনে থেকে ৬পিচ স্বর্ণেরবার সহ ওই নারী পাচারকারীকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ পাচারের মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের নিকটে হস্তন্তর করা হয়েছে।
ঘিবা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার ওবাইদুল হক জানান, বিজিবি সব সময় স্বর্ণ ও পাচারকারীদের আটক করে তাদের নামে মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তন্তর করেন। তাই স্বর্ণপাচারের মুলহোতাদের বের করতে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ মঞ্জুর ইলাহী জানান, আমাদের কাজ সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ্য মালামালসহ পাচারকারীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তন্তর করা। এরপর পুলিশই পারে পাচারকারীদের রিমান্ড নিয়ে স্বর্ণপাচারকারী মূলহোতাদের বের করতে। কিন্তু পুলিশ কেন এটি করেন না তা পুলিশই জানেন বলে তিনি জানান।