আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েলে গোবর, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ব্যবহারকারীরা

নিউজটি শেয়ার লাইক দিন

আব্দুল মান্নান শার্শা॥ যশোরের শার্শা উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল স্থাপনে গোবর ব্যবহার করা হচ্ছে।

মোটা অংকের কমিশন পাওয়ার আশায় কর্মকর্তারা সরকারী নির্দেশ পালন না করে ঠিকাদারের কাজে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ৩০ জানুয়ারী-২৪ তারিখে প্রধান প্রকৌশলী জনাব সরোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ প্রদান করেন যে, আসের্নিক মুক্ত নলকূপ খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসাবে গরুর গোবর মিশ্রিত পানির ব্যবহার করা যাবে না। তিনি দেশ ব্যাপি প্রতিটি জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের একই আদেশ প্রদান করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ জারি করেন। পত্রে উল্লেখ্য করেন নলকূপ স্থাপন কাজের বিল অফ কোয়ালিটিতে নলকূপ খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসাবে বেন্টোনাইট-ক্লে মিশ্রিত পানি ব্যবহারের নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও গোবর মিশ্রিত পানি বোরিং ফ্লুইড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন সমিক্ষা ও গবেষনায় দেখা গেছে টিউবওয়েল স্থাপনের সময় গোবর পানি ব্যবহারের কারনে ভূগর্ভের পানির স্তর দূষনের সম্ভাব্য দীর্ঘ স্থায়ী উৎস হতে পারে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যে কারনে নলকূপ স্থাপনের জন্য খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসাবে গোবর মিশ্রিত পানির ব্যবহার না করার জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, জনস্থাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর ঢাকা

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রকল্প পরিচালক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা, নির্বাহী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য ও সহকারী উপ- সহকারী প্রকৌশলী জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সকলকে পত্র প্রদান করেন অথচ দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা অ, কর্মচারী ও ম্যাকানিকরা নলকূপ খননের সময় প্রতিটি টিউবওয়েলে বেন্টোনাইট-ক্লে মিশ্রিত পানির ব্যবহার না করে গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করছে। যা জনস্বাস্থ্য জন্য হুমকি।

শার্শা সূবর্ণখালী গ্রামের সামছুর রহমান বলেন, আমি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস থেকে একটি নলকূপ গ্রহন করিছ। ঠিকাদার নলকূপ বসানর সময়ে গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করে এবং আমাকে ঠিকাদারের লোকজন বলে যে এখুনি গোবর প্রয়োজন আমি নিজেই গোবর এনে দেওয়ার পর তারা নলকূপ বসানর কাজ সম্পন্ন করে। আমি নিজেই খোজ নিয়ে জেনেছি উপজেলার প্রত্যেকটি নলকূপ বসানোর সময় তারা গোবর মিশ্রিত পানি দিয়েই তারা নলকূপ বসানোর কাজ শেষ করেছে। তাছাড়া আমরা তো বেন্টোনাইট-ক্লে¬ চিনিই না।

 

জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা নুর ইসলাম বলেন, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৮৬টি আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল বসানোর কাজ প্রায় শেষের পথে। মেসার্স ফিরোজ এন্টারপ্রাইজ ও খাকি কনষ্ট্রাকশন নামের দুইটি ঠিকানারী প্রতিষ্ঠান নলকূপ স্থাপনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বেন্টোনাইট-ক্লে¬র পরির্বতে গোবর ব্যবহার করছে। তবে আগামীতে যাতে গোবর ব্যবহার না করে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিষয়টি নিয়ে যশোর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা জাহিদ পারভেজের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল বসানোর সময় গবর ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে যদি কেউ অভিযোগ দেয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *