নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জামতলা এলাকা পাচার করা স্বর্ণ জব্দ করা কে কেন্দ্র করে পুলিশের উপর বোমা হামলা ও গুলীবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় স্বর্ণ চোরাকারবারী ওলিয়ার @ওলি মাকড়া (৩৬) নিহত হয়েছে। সে বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার রাজাপুর গ্রামের মৃত- জাহান আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ রবিন (৩৫) ও আবুল কাশেম (৩৫) নামে দুই পাচারকারীকে আটক করেছে।
আটক রবিন কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার সাঁতারদিয়া গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে ও আবুল কাশেম একই থানার পাঁচগাছিয়া এলাকার কবির হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে একটি প্রাইভেট কারসহ যশোর ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশের যৌথ দল তাদের আটক করে।
ওই সময় ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলযোগে প্রায় ৫০-৬০ জন যুবক পুলিশের উপর বোমা বর্ষণ করে।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি এবং রাবার বুলেট ছুড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে যায়। দ্রুত পালাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক পাচারকারী নিহত হয়।
যশোরের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি দুই জন স্বর্ণ পাচার কারী বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে পুটখালী সীমান্তের দিকে যাচ্ছে। এ খবরের ভিত্তিতে যশোর ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশের যৌথ দল রাতেই নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকার পাঁচপুকুর নামক স্থানে পুলিশ অবস্থান নেয়। রাত আনুমানিক ১টার দিকে প্রাইভেটকার যোগে স্বর্ণপাচারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গাড়ি থামিয়ে রবিন নামের একজনের শরীরে ও গাড়ির মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এসময়ে স্বর্ণপাচারকারীদের ছাড়িয়ে নিতে ২৫ থেকে ৩৫টি মোটরসাইকেলে ৪০ থেকে ৫০ জন চোরাকারবারি বোমা হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে থেকে দ্রুত পালাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক পাচারকারী নিহত হয়। মৃত্যু দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শার্শা থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।