লাশ ফ্রিজিং গাড়িতে কফিনে মোড়ানো ফেনসিডিলের চালান

নিউজটি শেয়ার লাইক দিন

স্টাফ রিপোর্টার: শুনলে অবাক হওয়ার মতই । চোখে দেখলেও চোখ চড়ক গাছে উঠবে। লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ফেন্সিডিলের চালান ধরা পড়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। দেখতে অবিকল মরদেহ। অবাক করা হলেও সত্যি, লাশবাহী গাড়ি থেকে ৩ হাজার বোতল ফেন্সিডিলসহ ৭ জনকে আটক করেছে

মানুষের অন্তিম যাত্রার সঙ্গী। চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে দিকে থাকে সবার নজর। কারণ একটাই, লাশবাহী গাড়ি। দেখলেই ভিন্নরকম এক অনুভূতি হয়। কিন্তু অপরাধের সীমা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। এই গাড়িগুলোতেই বহন করা হচ্ছে ফেন্সিডিল। দেখে বোঝার উপায় নেই। অবিকল কাফনে মোড়ানো।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা থেকে আসা এমন একটি লাশবাহী গাড়ি রাজধানীর বঙ্গবাজার এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পাওয়া যায় ৩ হাজার বোতল ফেন্সিডিল। আটক করা হয় ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে।

গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, খুবই বিস্মকরভাবে দেখলাম লাশবাহী ফ্রিজিং করা গাড়িতে মৃত লাশের মতো করে সাদা কাপড়ে মোড়ানো বস্তার ভিতরে তারা ফেন্সিডিল নিয়ে আসছে। এর মানে হচ্ছে মাদকব্যবসায়ীরা ও মাদকখোররা নানাভাবে মাদক নিয়ে আসছেন।

বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ফেন্সিডিলগুলো ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। বহুদিন যাবৎ অভিনব এ কৌশলে মাদক ব্যবসা করে আসছিলো চক্রটি।

পুলিশ বলছে, ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। তবে লাশবাহী গাড়ী ব্যবহার তাদেরকেও অবাক করেছে। যেখান থেকে এ মাদক আসে সেখানকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান।

অধিকাংশ সময় দেখা যায় সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দেরকে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে দেশের অভ্যন্তরে মাদক ঢোকানো হয়। এরপর নিত্যনতুন কৌশল সেই সমস্ত মাদকদ্রব্য আনা হয় ঢাকাতে।  বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষাকারী  বাহিনীরা যদি সর্বদা এসব মাদক পাচারের বিষয় অধিকতর গুরুত্ব দেয় তাহলেই মাদক ব্যবসা বন্ধ হওয়া সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *