১৮ কেজি টিউমার এক রোগীর পেটে, অপসারণ করলো গণস্বাস্থ্য

নিউজটি শেয়ার লাইক দিন

ডেক্স নিউজ: আবুল কালাম নামে ৬০ বছরের এক রোগীর পেট থেকে ১৮ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করেছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অল্প খরচে আবুল কালাম নামে ৬০ বছরের এক রোগীর পেট থেকে ১৮ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করেছে। হাসপাতালটির অধ্যাপক ডা. মো. আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এ অপারেশন করেন। টিমে আরও যারা ছিলেন— ডা. নাজিবুল ইসলাম, সজিব কুমার শাহা, ডা. তাওহীদ খান, ডা. সামিয়া আক্তার এবং অ্যানেস্থেসিয়ায় ডা. গোলাম রাব্বানী ও ডা. নাইম সর্দার সুমন।

এতে বলা হয়, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ভাদুর গ্রামের আবুল কালাম ২ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বাড়িতে সাংসারিক কাজ করে সুখে দিনযাপন করেন। চার মাস আগে তার পেটে ছোট টিউমার অনুভূত হয়। গত একমাস থেকে তার পেটে হঠাৎ টিউমার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, পেটে প্রচন্ড ব্যথা, তার চলাফেরা, ঘুম হতো না। ৩০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় টিউমার অপারেশনের জন্য কিন্ত ৪ দিন অপেক্ষা করেও অপারেশনের তারিখ না পেয়ে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সুনামধন্য জেনারেল সার্জারি অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেনের অধীনে ভর্তি হন। ডাক্তার রোগীর সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তার বিপদ বুঝে দ্রুত সময়ক্ষেপন না করে গত ৬ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী তার পেটে সফল অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে ১৮ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করেন।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে রোগীর ফলোআপ দেখতে এসে প্রফেসর ডা. আকরাম হোসেন বলেন, ‘রোগীর টিউমার অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত সময়ে যেভাবে বেড়ে যাচ্ছিলো অপরেশন দেরিতে করলে এধরনের রোগীদের জীবন বিপন্ন হওয়া ছাড়াও টিউমার থেকে জটিল রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপারেশনের কারণে তিনি এখন বিপদমুক্ত। আশাকরি এখন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আগেরমত চলাফেরা কাজকর্ম করতে পারবেন। এ ধরনের বড় টিউমারের রোগী সারাদেশে বছরে খুব বেশি অপারেশন হয় না।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রফেসর ডা. আকরাম হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর অত্যন্ত সুনামের সাথে আশির দশকে ইরাকে তিন বছর এবং তারপর ১৯৯৫ সাল থেকে ১২ বছর সৌদি আরবে কিং ফাহাদ সেন্টাল হসপিটালে সার্জারিতে চিকিৎসা সেবা দেন। পরবর্তীতে তিনি ১২ বছর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের প্রধানসহ আড়াই বছর প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি লিভার উিমার, ল্যাপারাস্কপি, পাইলস লেজার অপারেশন, গল্ডব্লাডার, হার্নিয়া, অগ্নাশয় ক্যান্সার, কলন ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সারসহ নানাহ জটিল রোগের অপারেশন করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অন্যসব বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল অনেক সাশ্রয়ী, মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচে এ অপারেশন করা হয়। বাংলাদেশেই অন্য সব বেসরকারি হাসপাতালে এ ধরনের টিউমার অপারেশনে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ লাগতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *