সৌদি ফেরত নারী লোকলজ্জার ভয়ে দুধের শিশুকে ফেলে গেল বিমানবন্দরে

নিউজটি শেয়ার লাইক দিন

স্টাফ রিপোর্টার: সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা এক নারী লোকলজ্জার ভয়ে নিজের কোলের শিশুকে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেলে পালিয়ে গেছে।  শনিবার সকাল আটটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশুকে আমার পুলিশের সদস্যরা হেফাজতে নিয়েছেন।

 

কর্মকর্তারা বলছেন, শিশুটির বয়স আনুমানিক আট মাস। শুক্রবার সকাল আটটার পরে সে যখন বিমানবন্দরের ভেতরে একটি চেয়ারে বসে ফিডারে দুধ খাচ্ছিল তখন পুলিশর নজরে আসে।অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির কোন অভিভাবককে পায়নি পুলিশ বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রাত দুইটার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এক নারী যাত্রী আসেন এবং এরপর তিনি ৫নং বেল্ট থেকে মালামাল সংগ্রহ করেন। সেই নারীর সাথে এই শিশুটি ছিল। শিশুটিকে নিয়ে সে নারী সকাল পর্যন্ত অ্যারাইভাল বেল্টের পাশেই শিশুটিকে নিয়ে বসে ছিলেন।

“সকাল পর্যন্ত সে নারী বিমানবন্দরেই ছিলেন। আটাটার দিকে শিশুটিকে ফেলে তিনি চলে যান। এরপর আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করি।

আসমানে এক যাত্রী জানান,যে নারী এই শিশুটিকে ফেলে চলে গেছেন তিনি সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় একটি বিয়ে করেছিলেন। সেখানে ওই শিশুটির জন্ম হয়।হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে শিশুটিকে সাথে না নিয়ে এয়ারপোর্টে রেখেই চলে যান।

আসমা পুলিশকে বলেছে, “আমি চারটার দিকে নামছি। তখন থেকে ঐ বাচ্চাকে ওখানে ঘুমিয়ে আছে। আর ওর মা ওখানে দাঁড়ায়ে আছে। তিনি জানিয়েছিলেন সে সৌদি আরবে ছিল। সেখানে সে  বিয়ে করে। আমি বলছি আপনার এটা করা উচিত হয়নি। বলতে-বলতে কেঁদে সে কাঁদতে থাকে।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন,যে নারী এই শিশুটিকে বিমানবন্দরে রেখে চলে গেছেন তাকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা গেছে। তার নাম ঠিকানাা পাওয়া গেছে। তবে তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না। শিশুটট এখন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।”শিশুটিকে দত্তক নেবার জন্য এরই মধ্যে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যাচাই-বাছাই করে ভালো একটি জায়গায় দত্তক দেবার কথা আমরা চিন্তা করছি, এখন শিশুটিকে দত্তক দেবার ব্যবস্থা করা হবে। ওই নারী বাধ্য হয়তো দেশ ফিরে তার এই সন্তানের কথা প্রকাশ করতে চাননি। তিনি বাধ্য হয়েই এ সন্তানকে ফেলে গেছেন। এখন জোর করে শিশুটিকে আবারো তার কাছে দেওয়া়া উচিত হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *