বিশেষ প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনে ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাদের কেউই বৈধ ভোটের আট শতাংশ পাননি। এ কারণে জমা দেওয়া জামানত আর ফেরত পাবেন না।
এবারের নির্বাচনে যশোরে সর্বমোট ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে বিজয়ী ৬জন প্রার্থী বাদেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেশিরভাগ বিধি অনুযায়ী আট শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন,
যশোর-১ (শার্শা) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আক্তারুজ্জামান।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে জামানত হারিয়েছেন ৪জন। তাদের একজন হচ্ছেন,
ক) স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের এসএম হাবিবুর ।
খ) জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ফিরোজ শাহ,
গ) বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের আব্দুল আওয়াল
ঘ) বিএনএফের টেলিভিশন প্রতীকের শামছুল হক
যশোর-৩ (সদর) আসনে জামানত হারিয়েছেন ৬ প্রার্থী। তারা হচ্ছেন,
ক) বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের তৌহিদুজ্জামান
খ) তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের কামরুজ্জামান
গ) বিকল্প ধারার কুলা প্রতীকের মারুফ হাসান কাজল
ঘ) জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মাহবুব আলম
এ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙ্গর প্রতীকের শেখ নুরুজ্জামান
চ) এনপিপির আম প্রতীকের সুমন কুমার রায়।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে জামানত হারিয়েছেন যাচ্ছেন ৫ প্রার্থী। তারা হলেন-
ক) তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশের এম. শাব্বির আহমেদ,
খ) ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের ইউনুছ আলী,
গ) জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের জহুরুল হক
ঘ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙ্গর প্রতীকের সুকৃতি কুমার মন্ডল
ঙ) স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের রণজিৎ কুমার রায়
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে জামানত হারাচ্ছেন ৩ প্রার্থী।
ক) তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের আবু নসর মোস্তফা
খ) জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এমএ হালিম
গ) ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের নুরুল্লাহ আব্বাসী
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের ১ প্রার্থী।
ক) জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের জিএম হাসান।
উল্লেখ্য প্রতিটি প্রার্থীকে সংসদীয় আসন থেকে মোট ভোটারের কমপক্ষে ৮ শতাংশ ভোট পাওয়ার বিধান রয়েছে। আট শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।