স্বাস্থ্য ডেস্ক: আগামী ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে বাদ পড়া মানুষদের দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখনও করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়নি প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ, দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ। যারা এখনও প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেন নাই, তারা ৩ অক্টোবরের পর আর ভ্যাকসিন (টিকা) পাবেন না। অনেক ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে, অনেক ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ করার আগে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটি ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ গণহারে সবাইকে দেওয়া হবে। এরপর আর দেওয়া যাবে না। এরপর প্রথম ডোজ টিকা আর পাওয়াই যাবে না। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়াও সম্ভব হবে না।
সরকারের টিকা কর্মসূচির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। এছাড়াও ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গেছে। তবে, এখনও সোয়া ২ কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে আরও ৪ কোটির বেশি টিকা দেওয়ার প্রয়োজন। তবে আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে।’
সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের না থাকার কুফল উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা বেড়ে গেলে আবারও অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে, স্বাস্থ্য সেবায় প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ কিন্তু আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমরা যেন মাস্ক পরা ভুলে গেছি, মাস্ক বড় হাতিয়ার। ভালো দিক হলো মৃত্যু হার কমেছে। তবে আমরা সন্তুষ্ট নই, করোনার সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
এর মাধ্যমে দেশের ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৭ শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।