নড়াইলে ফসলে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নারী নির্যাতন

নিউজটি শেয়ার লাইক দিন

নড়াইল প্রতিনিধি ঃ জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নেওয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হালিমা বেগম নামে এক মহিলাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ মার্চ কালিয়া উপজেলার নোয়াগ্রামে। এ ব্যপারে কালিয়া থানায় মামলা করায় তাকে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মৃত নুরমিয়া মোল্লার ছেলেদের সঙ্গে শরীকের জমি জমা নিয়ে হালিমা বেগমের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠক্ও হয়েছে। কিন্তু দ্বন্দ্ব মেটানো যায়নি। গত ২০ মার্চ সকালে হালিমা বেগম তার জমিতে পানি দেবার জন্য নুরু মিয়ার ছেলে ইরান মোল্লা, তাহিদুর মোল্লার জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নেয়। এই অপরাধে ইরান মোল্লা, তাহিদ  মোল্লা ও তাদের বোন খাদিজা বেগম লাঠি দিয়ে হালিমাকে পিটিয়ে আহত করে। ঠেকাতে গিয়ে হালিমা বেগমের মাতা লতিফা বেগমকেও গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা হয়। মামলা করার অপরাধে ইরান মোল্লা ও তাহিদ মোল্লা হালিমাকে আবারও পেটায়। মামলা তুলে নেবার জন্য তাদের কাছে থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করার হুমকী দেয়।

গত ২২ মার্চ সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে উভয়ের বাড়ি পাশাপাশি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইরান মোল্লা ঢাকার একটি কোম্পানীতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করে। তার নামে একটি শর্টগান আছে। এলাকায় সে এই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অনেক অপরাধ মুলক কাজ করে থাকে। এলাকার মানুষের দাবি ইরান মোল্লার কাছে থাকা শর্টগানটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।

প্রতিবেশি আজাদ শেখ বলেন, এদের কিছু বললে শর্টগান বের করে গুলি করার ভয় দেখায়। জিয়াউর মোল্লা এবং মিলন শেখ বলেন, ইরান এবং তাহির দুই ভাই মিলে হালিমাকে গরুর মত পেটাচ্ছিল। ঠেকাতে গেলে লাঞ্চিত হই। খাজা মোল্লা বলেন, মেয়ে মানুষের গায়ে হাত দেওয়া অন্যায়। ওদের বিচার হ্ওয়া উচিৎ।

ইরান মোল্লার বাড়িতে গেলে তাকে প্ওায়া যায়নি। ভাইজি সাদিয়া জানায় কেউ বাড়িতে নেই। বোর্ড (ইউনিয়ন পরিষদ) অফিসে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তাদের প্ওায়া যায়নি।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে ইরান মোল্লা বলেন, গ্রামে দলাদলি আছে। আমাদের অনুপস্থিতিতে অনেকে অনেক ধরণের কথা বলতে পারে। তিনি দাবি করেন হালিমাকে মারপিট করা হয়নি। শর্টগান দিয়ে গুলি করার ভয়ও দেখানো হয়নি। বিনা কারণে আমাদের নামে থানায় মামলা  করেছে।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *