অর্থনৈতিক ডেস্ক: চিনির দাম ১৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এখন বাজারে চিনি ১০০ থেকে ১১০ টাকা মূল্যে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে মফস্বল বাজারগুলোতে চিনির দাম কেজি ১২০ টাকাও নেয়া হচ্ছে। ফলের সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাজারে নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনির দাম কেজিতে ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের এ ধারণার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। এর ফলে বাজারে চরম অবস্থায় তৈরি হবে। কারণ চিনি দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ই চিনির সাথে সংশ্লিষ্ট উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো লাগামহীন ভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াবে। উৎপাদিত মূল্যের দাম বাড়ার ফলে সেই প্রভাব পড়বে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। এটা পড়লে বাজার ব্যবস্থা আরো অস্থির হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সেখানে সরকারি এই চিনির দাম কেজি প্রতি ১৪ টাকা করে বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
বিএসএফআইসির প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা মাযহার উল হক খানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশি প্যাকেটজাত এক কেজি চিনির দাম ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণের কথা জানানো হয়। কোনো বিক্রেতা এর থেকে বেশি দামে দেশি চিনি বিক্রি করতে পারবেন না বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
কয়েকদিন ধরেই বাজারে চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানে চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও কেজি প্রতি দাম গুনতে হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা করে। গ্যাস সংকট ও যথাসময়ে আমদানি না করতে পারায় চিনির সংকট দেখা দিয়ে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। যার কারণে এমন সংকট দেখা দিয়েছে।
চিনির এমন সংকট হলে গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এখনো দেশে যে পরিমাণ চিনি আছে তাতে জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো ঘাটতি হবে না। এমন অবস্থার মধ্যে চিনির দাম বাড়ানোর তথ্য এলো।