নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর: ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেছে যশোরের ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সিং ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে সংগঠনটি প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে যশোর সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আবারো বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন যশোর জেলা শাখার সভাপতি আবিদুর রহমানের বলেন, নার্সিং এমন একটি পেশা যা সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য সচেতনাতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত দক্ষ এবং উৎকৃষ্টরূপে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নার্স বা সেবিকা নামে পরিচিত। কিন্তু সম্প্রতিকালে গৃহিত একটি সিদ্ধান্ত বর্তমান নার্সিং পেশায় তুমুল মানসিক ক্ষোভের উদ্বেগ ঘটিয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড হতে পাশকৃত শিক্ষার্থী যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং যারা ৩/৪ বছরের পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স করার পর শুধুমাত্র ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ যোগ্যতা সম্পন্ন করে। তাদেরকে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমমান করা হয়েছে।
যা যোগ্যতা অনুসারে বিচার করলে পক্ষপাত দৃশ্যমান। কেননা এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার এক বিশাল বৈষম্য লক্ষণীয়। যা মেনে নেয়া যায় না। মানববন্ধন থেকে এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে কারিগরি মুক্ত নার্সিং ব্যবস্থা চালু, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সকে ডিগ্রি সমমান চাই, প্রফেশনাল বিসিএস প্রদান, শিক্ষা উপবৃত্তি বৃদ্ধি করণ ও ইন্টার্ন ভাতা নিশ্চিত করণ, সরকারি নার্সিংয়ে ছেলে কোটা ১০% থেকে ২০% এবং বেসরকারি নার্সিংয়ে ২০% থেকে ৩০% উন্নতিকরণ ও ছেলেদের আসাবিক হলের ব্যবস্থা করণ।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আবিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক দ্বি প্রজিত দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অর্ঘ্য রায়, অমি সাহা প্রমুখ।