ছাত্রীর মা জানান, সকালেই মেয়ের বাবা কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। দুপুরে তিনি গ্রামের পাশের একটি বাড়িতে প্রয়োজনীয় কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে তিনি দেখেন, তাঁর মেয়ে বাড়ির উঠানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে মেয়েকে নিয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিকেল পাঁচটার পর মেয়ের জ্ঞান ফিরলে সে জানায়, ঘরের বারান্দায় বসেছিল সে। এমন সময় একই এলাকার রিয়াজ খান (২০) ও তাঁর সঙ্গে আরও দুজন মোটরসাইকেলে করে এসে মা ও বাবা কোথায় জানতে চান। মা-বাবা বাড়িতে নেই বলার পর তাঁরা তাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন। এরপর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাফরিয়া রহমান বলেন, মেয়েটিকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়েছে। আলামত নষ্ট হতে পারে আশঙ্কায় দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, িআমি বিষয়টি জানার পরে ভিকটিমের খোঁজ-খবর নিয়েছে। জানতে পেরেছি তার অবস্থা আশংষ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখার জন্য দু’জন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি অপরাধীরা ধরা পড়বে।