স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে লাবনী (৩৩) তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) নামে একজনকে দিনে দুপুরে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার হালসা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লাবনী যশোর শহরের বেজপড়া এলাকার করিম মিস্ত্রীর সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী নাজমা ও সেলিনা জানান, তারা তিনজন এক সাথে যশোর শহরের ধর্মতলায় হিজড়া সরদার পান্জারির অধীনে ছিলেন। বিভিন্ন কারণে তারা তিনজন পান্জারির থেকে আলাদা হয়ে যান। এনিয়ে পান্জারি ও তার লোক মুন্নি, বর্ষা, ও সনিয়া প্রায়ই সময় তাদের হুমকি দিতেন। শনিবার সকালে তারা তিনজন গ্রামে যান। হালসা ব্রীজের কাছে পৌঁছালে মুখে মাস্ক পরা দুইজন এসেই লাবনীর গলায় ছুরি দিয়ে পোছ দেয়। এসময় লাবনী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাবনীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, তাকে হাসপাতেলে আনার পরে তাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশনের টেবিলেই তার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে জানান ডাক্তার।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, কি কারনে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়ে এখনো কিছুই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার পর পুলিশ অনুসন্ধানে নামবে। এরপরেই বলা যাবে কি কারনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।