বেনাপোল বন্দরে সন্ধ্যার পর পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন বন্ধ

নিউজটি শেয়ার লাইক দিন

সোহাগ হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম সন্ধ্যা ৬টার পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

 

এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। দিনের মধ্যে পণ্য খালাস নিতে না পারায় গরমে অধিকাংশ পণ্য নষ্ট হওয়ার আশংখা দেখা দিয়েছে।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, সন্ধ্যার পর একটি চক্র পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বেশ কিছুদিন আগে এ ধরনের বেশ কয়েকটি চালান বেনাপোল কাস্টমসের কর্মকর্তা ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আটকও করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, মাঝে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল জাতীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল ও খাদ্য দ্রব্য জাতীয় পঁচনশীল পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। প্রতিদিন এ আমদানি পণ্য থেকে সরকারের ২ থেকে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আসে। তবে সম্প্রতি এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শুল্ক ফাঁকির কারসাজিতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি তাদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা পড়ছেন বিপাকে।

একাধিক আমদানিকারকের প্রতিনিধিরা জানান, আগে তারা গভীর রাত পর্যন্ত পণ্য খালাস নিতে পারতেন। তবে বর্তমানে সন্ধ্যার পর পচনশীল জাতীয় কোনো কাঁচামাল খালাস নিতে পারছেন না। এতে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। পচনশীল এসব মালামাল গরমের মধ্যে পচে নষ্ট হচ্ছে। সৎ ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাস্তবায়ন করতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান এই ব্যবসায়ী।

 

বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডের ট্রাফিক পরিদর্শক পলাশ জানান, বেনাপোল বন্দরে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ভারত থেকে ২২ ট্রাক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাছ, টমেটো, কাঁচামরিচ, আঙুর, ক্যাপসিকামসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। তবে কাস্টমসে বিধি নিষেধের কারণে সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ীরা অনেক পণ্য খালাস নিতে পারেননি।

 

বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর কাঁচামাল জাতীয় পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী অনিয়ম করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে থাকেন। রয়েল এন্টারপ্রাইজ ও আলেয়া এন্টারপ্রাইজের কাছে প্রায় তিন কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যা ৬টার পর আপাতত শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *