নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে হত্যাসহ পাঁচ মামলার আসামী সাগর (৩২)কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচ টার দিকে যশোর জেলার সদর উপজেলার বালিভেকুটিয়া বাজারে তাকে হাতুড় ওলাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন ডাক্তারা। স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাগরের নামে থানায় হত্যা ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকসহ অস্ত্রসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। নিহত সাগর বালিভেকুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
সাগরের ভাই আকাশ বলেন, গতকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পায় সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ডেকুটিয়া বাজারে ফেলে রেখে গেছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০সর্জা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। আমরা রাতেই তাকে ঢাকাতে নেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই। এক পর্যায়ে পদ্মা সেতু পার হওয়ার পরেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে আমরা ফিরে এসে যশোর ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালের মারগে নিয়ে আসি। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হয়েছে এইমাত্র। এখন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সেই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। লাশ দাফনের পর থানা মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে যশোর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাগর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত করতে মাঠে নামছে। তাছাড়া ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত থানায় মামলা করেনি। মামলা করলে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আসা হবে।